বই পড়ার আনন্দ অনুচ্ছেদ ক্লাস 6,7,8,9,10

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বই পড়ার আনন্দ অনুচ্ছেদ | গ্রীষ্মের দুপুর রচনা Class 6, 7, 8, 9, 10 টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বই পড়ার আনন্দ অনুচ্ছেদ |

বই পড়ার আনন্দ অনুচ্ছেদ

Add a heading 30

 

এই মহান সৃষ্টিকে জীবনে যতটা সম্ভব জানার জন্যই মানুষ জন্মেছে। এটা জানার আরেক নাম জ্ঞান অর্জন, আর জ্ঞানই জীবনের অর্থ। মানব জীবনের সীমাবদ্ধতার স্বল্প পরিসরে অভিজ্ঞতা ও তথ্যের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করা হয়। বই হল তথ্য ও অভিজ্ঞতার ভান্ডার যা মানুষ সাবধানে সঞ্চয় করে। এসব বই বা বইয়ের মাধ্যমেই মানুষ জ্ঞানের দিকে এগিয়ে যায়।
 

 

বই পড়ার আনন্দ সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনায় প্রবেশের আগে বই পড়া বলতে ঠিক কী বোঝায় সে সম্পর্কে কিছু বলা দরকার। বিশেষ করে আজকের যুগে বই পড়া জ্ঞান অর্জনের চেয়ে অনেক বেশি যান্ত্রিক ও লক্ষ্যমুখী হয়ে উঠেছে। কিন্তু বই পড়ার প্রকৃত রূপ সেরকম নয়। জ্ঞান অর্জন ব্যতীত কোন নির্দিষ্ট কাঙ্খিত লক্ষ্য ছাড়াই একটি বই পড়া শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে তথ্য জমা করে, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানের বিকাশ হয় না।
এ ধরনের বই পড়ে আনন্দ নেই, বরং যা আছে তা একঘেয়েমি। বই দ্বারা আমরা সব ধরনের বই সম্পর্কে কথা বলছি। সব ধরনের বইই লেখকের কোনো না কোনো চিন্তার অনুমান। কিন্তু সেই অভিক্ষেপকে জ্ঞানের বোধের অভিপ্রায়ে অনুভব করতে হবে, কোনো বাহ্যিক লক্ষ্য অর্জনের অভিপ্রায়ে নয়। তবেই এটি একটি সার্থক পাঠে পরিণত হবে এবং এমন একটি বই পড়ার মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত আনন্দের সাগর।
পৃথিবীর সব কিছুর মতো বই পড়ারও একটা ইতিহাস আছে। মানুষের পঠনপাঠনের ইতিহাস ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে বোঝা যায়, প্রাচীনকালে মানুষ যখন লিখতে ও পড়তে শিখেছিল, তখন পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছিল। সে যুগে পড়ার ধরন আজকের বইয়ের মতো সুসংগত ছিল না। মানুষ পাতা, বড় পাথর, গাছের ছাল ইত্যাদিতে লেখা লিপি পাঠ করত।
মানব সভ্যতার ইতিহাসে বই পড়া শুরু হয়েছিল একদিকে জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে, অন্যদিকে বিনোদন বা উপভোগের উদ্দেশ্যেও। আজকের ভোগবাদী সভ্যতার যুগে, মানুষের হাতে অনেক সহজ বিকল্প রয়েছে, তাই বই পড়ার প্রতি সাধারণ মানুষের কিছুটা অনীহা রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত একশ বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা যে হারে বেড়েছে, বই পড়ার চাহিদা মোটেও বাড়েনি। সে তুলনায় সহজলভ্য বিভিন্ন বিনোদনের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ।
যে ব্যক্তি বই পড়ে, সময়ের বিবর্তনে বই পড়ার অভ্যাস তার নেশায় পরিণত হয়। একটি বই পড়ার প্রাথমিক গুণ হল যে একটি বই পড়ার সময়, সেই বইটি পাঠককে অন্য বই পড়তে প্ররোচিত করে। প্ররোচনার এই গোলকধাঁধায় আটকে পড়া পাঠক একটি বই শেষ করে আরেকটি শুরু করার চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। যে ব্যক্তি নিয়মিত বই পড়ে, বই ছাড়া তার জীবন অচল হয়ে পড়ে। জীবনে যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন বই সব সময়ই তার ছায়াসঙ্গী।
বই পড়া শুধু জ্ঞান অর্জনের জন্য নয়, নতুন কিছু শেখার এক অদ্ভুত আনন্দ লুকিয়ে আছে। এই আনন্দে বই পাগল পাঠকরা। বর্তমান যুগে আধুনিক প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে, তবে আজকের তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বইয়ের ডিজিটালাইজেশন নতুন প্রজন্মের শিশুদের আবার বই পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করছে বলে আশার কথা রয়েছে। নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাসে এই ধারাকে পুনর্বাসিত করা গেলে তা একটি সুন্দর ও সুখী পৃথিবী গড়তে সাহায্য করবে।

 

 

 

শেষকথা

শিক্ষার্থীরা আজকে আমরা জানলাম বই পড়ার আনন্দ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে। যদি আজকের এই বর্ষাকাল রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top